সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

দৈনিক আজিজ:বিশ্ব সংবাদ পড়ছি 'রমেশ পাইন'



বিশ্ব সংবাদ পড়ছি 'রমেশ পাইন'

"হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর"


 হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

পৃথক পাঁচটি মামলায় ওয়াক্কাসের ১৫ দিনের রিমান্ডের পর গতকাল সোমবার রাজধানীর পল্টন থানার একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর রিমান্ড ও জামিনের উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শুনানিকালে ওয়াক্কাসকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়া থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেফতার করে।

৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানার পৃথক তিনটি ও পল্টন থানার দুইটি মামলায় ১০ দিন করে ৫০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে মামলার সিডি না পাঠানোয় রিমান্ড শুনানি ৯ সেপ্টেম্বর ধার্য করে ওয়াক্কাসকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত

৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের তা-বের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থের যোগানদাতাদের পরিচয় জানতে এবং পলাতক আসামীদের নাম ঠিকানা জানার জন্য ওই রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, মুফতি ওয়াক্কাস বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটভুক্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের আমলে তিনি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে চার দলীয় জোটের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

চলতি অধিবেশনে ইসলামবিরোধী নীতিসমূহ বাতিল না করলে সরকারকে চরম খেসারত দিতে হবে


দৈনিক আজিজ:বিশ্ব সংবাদ পড়ছি 'রমেশ পাইন'
ইসলামী দলসমূহের যৌথ বিবৃতি ইসলামী দলসমূহের নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, সংসদের চলতি অধিবেশনে ইসলামবিরোধী সকল কালা কানুন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় এর পরিণাম হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। অতীতে আবু জেহেল, আবু লাহাব, ফেরাউন, নমরুদ, কারুন, শাদ্দাত, হামান ও নিকট অতীতে সাদ্দাম, গাদ্দাফিদের মতো স্বৈরাচারদের করুণ পরিণতি থেকে সরকারকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অপর এক বিবৃতিতে শীর্ষ ইসলামী নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি দল বিরোধী দলের মধ্যে ঈমানের দাবিদার সকল মুসলমানকে ইসলাম রক্ষার এই ঈমানী আন্দোলনে সক্রিয় শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সরকারি দল ইসলাম ধ্বংস নীতি অনুমোদন দিয়ে যাবে? আর বিরোধী দল ক্ষমতার মোহে পাগল হয়ে ইসলামবিরোধী কালা-কানুনসমূহের ব্যাপারে বোবার ভূমিকা পালন করবে তা আদৌ কাম্য নয়? ইসলামী নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বিরোধী দলের কোন কোন নীতি নির্ধারক পশ্চিমাদের কাছে অঙ্গীকার করেছেন ক্ষমতায় গেলে হেফাজতের ১৩ দফা বাস্তবায়ন করবো না- মর্মে যে খবর রাষ্ট্র হয়েছে সে ব্যাপারে বিরোধী দলের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জাতি আশা করে।
 বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন-
 শীর্ষ আলেমে দ্বীন, রাবেতা আলম আল ইসলামীর স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপিত মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত ও ইসলামী দলসমূহের আহ্বায়ক ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি শাইখ মাওলানা আবদুল মোমিন, খেলাফত মজলিশের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, নেজামে ইসলাম পার্টি আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ইসলামী দলসমূহের সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের যুগ্ম-মহাসচিব ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, ফরায়েজী আন্দোলনের আমীর মাওলানা আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ হাসান, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি শাহতলীর পীর মাওলানা আবুল বশর, তাহরিকে খতমে নুবয়াতের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা সৈয়দ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী পীর, মীরের সরাইর পীর মাওলানা আঃ মোমেন নাছেরী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব শর্ষীনার পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, টেকের হাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, জাতীয় ফতোয়া বোর্ড সভাপতি প্রফেসর ড. মাওলানা ইহইয়ার রহমান, জমিয়াতে উলামায়ে দেওবন্দ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহাদ্দেস আবদুল্লাহ কাসেমী ও সেক্রেটারি মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক কাসেমী, খেলাফত যুব আন্দোলনের সভাপতি মুফতি ফখরুল ইসলাম, আহকামে শরীয়াহ হেফাজত কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি মাহবুবুর রহমান ও সদস্যসচিব অধ্যাপক আবদুস সবুর মাতুব্বর, জমিয়তুল মুফাসসিরিন সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসাইন ও সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল আমীন, ইসলাহুল মুসলিমীন সভাপতি মুফতি আবুল বাশার, ইসলামের জনতা সভাপতি মুফতি আবদুল কুদ্দুস, ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ সেক্রেটারি ড. মাওলানা আবদুর রহমান, হুফ্ফাজ পরিষদ সভাপিত হাফেজ লেয়াকত হোসাইন ও সেক্রেটারি মুফতি মাহবুবুর রহমান, চরমোনাইয়ের পীর (মরহুম ফজলুল করীম সাহেবের ভাই) মাওলানা ফিরদাউস বিন ইসহাক, জাতীয় খতীব পরিষদের আমীর মুফতি মাওলানা মাসউদুর রহমান, ইসলাহুল উম্মাহ চেয়ারম্যান মাওলানা আবু হানিফ নেসারী, ইসলামী অন লাইন এ্যাক্টিভিটস সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ প্রমুখ।